1. kumarshuvoroy@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. eshuvo1@gmail.com : নিউজ ডেস্ক :
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষঃ
পুলিশের মনোবল ফেরাতে এবং কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পিরোজপুর পুলিশ সুপারের নানা উদ্যোগ পিরোজপুরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস পালিত সব হারিয়ে ১১ মাস পর ‘গেমঘর’ থেকে বাড়ি ফিরলেন লোকমান ঈদের দীর্ঘ ছুটিতেও পিরোজপুরে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান জুলাই অভ্যুত্থানে হামলায় অভিযুক্ত ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার নতুন মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম নিয়ে আসছে ফেসবুক কাকে সোনা বললেন পরীমণি? ইফতারে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন আবারও অশান্ত মণিপুর, চলাচলে বিধিনিষেধ জারি রমজান উপলক্ষে পিরোজপুরে খাদ্য সামগ্রী  বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

সব হারিয়ে ১১ মাস পর ‘গেমঘর’ থেকে বাড়ি ফিরলেন লোকমান

  • Update Time : শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫২ Time View

পরিবারের ভাগ্য বদলানোর আশায় লিবিয়া গিয়েছিলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার লোকমান হোসেন। তবে দালালদের হাতে পড়ে ১১ মাস বন্দিজীবন কাটাতে হয় তাকে। এ সময় তিনি ২৫ লাখ টাকা খুইয়ে দেশে ফিরেছেন।

জানা যায়, দেড় বছর আগে লিবিয়া যাওয়ার জন্য পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার নলী জয় নগরের লোকমান হোসেন স্থানীয় দালাল শাহ-আলমকে ৩ লাখ টাকা দেন। তবে লিবিয়ায় যাওয়ার পর বেতন না পেয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ইতালি যাওয়ার। ইতালি যাওয়ার পথে মানব পাচারকারীদের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

লোকমান হোসেন  বলেন, শাহ আলম নামে একজনকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিই বিদেশ যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমাকে বিক্রি করে দেয় অন্য এক দালালের কাছে। তারপর লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা দিই সিলেটের হবিগঞ্জের শিরু ইসলাম নামের একজনকে। কিন্তু আমাকে ইতালি পাঠাননি তিনি।

তিনি বলেন, পরে বাড়ির জমি বিক্রি করে মাদারীপুরের দাদন জমাদ্দারকে দিই ১২ লাখ টাকা। লিবিয়ায় ত্রিপলী জহুরা ঘাট ওসামা ক্যাম্পের একটি রুমে বন্দি করে রাখে এবং মুক্তিপণের জন্য প্রতিদিন নির্যাতন করে। গরম ডিম পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। কান ধরে মুরগি সাজিয়ে রাখত, এক হাতের ওপর ভর দিয়ে পা দুটি ওপরে দিয়ে রাখত। প্রতিদিন রাতে একটি মোবাইল নিয়ে আসত এবং সেখান থেকে পরিবারের কাছে আমার ভয়েস পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হতো।

লোকমান বলেন, যখন টাকা জোগাড় করতে পারিনি তখন ৩ সন্তান বিক্রি করতে চেয়েছি।

লোকমান হোসেনের স্ত্রী রিমি আক্তার (২৮)  জানান, স্বামীকে মুক্ত করার জন্য দালালের বাড়িতে গিয়ে আমরা অনেকদিন থেকেছি। সে নিশ্চিত মুক্তি পেয়েছে সেটা জেনে সেখান থেকে আমরা এসেছি। আমার স্বামী ১১ মাস পরে দেশে ফিরেছেন। বেঁচে আছেন কিনা সেটাও জানা ছিল না।

এ বিষয়ে সাপলেজা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কাজল খান  বলেন, লোকমান দেশে ফিরেছে। শুরু থেকে পরিবারটির পাশে ছিলাম। শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লোকমানের এখন ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved ©Pirojpurnews24.com
Developed By Pirojpur News24