নিজেস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে জেলা পরিষদের একজন সংরক্ষিত সদস্যকে জড়িয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পিরোজপুর-২ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী নারী সদস্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন। সাথে আপত্তিকর বক্তব্যের ভিডিও সিডি আকারে জমা দিয়েছেন বলে ইসি সুত্রে জানা গেছে।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের সংরক্ষিত (মঠবাড়িয়া- ভান্ডারিয়া) ওই নারী সদস্যের নাম রোকেয়া বেগম। শনিবার তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এই অভিযোগ করেন।
ওই চিঠিতে রোকেয়া বেগম জানান, গত ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী সভায় জাতীয় পার্টি জেপির প্রার্থীর স্ত্রী বেগম
তাসমিমা হোসেন সরাসরি তার নাম উল্লেখ করে বলেন, “ভান্ডারিয়ার গৌরিপুরের মেয়েদের
নিয়ে ঢাকায় বেঁচছে রোকেয়া। এই গ্রামের মেয়েদের নিয়ে পতিতা বানাইছে। একজন নারী হয়েও আরেকজন নারীর বিরুদ্ধে বেগম তাসমিমা হোসেনের এমন কুরুচিপূর্ণ, অশালীন, আপত্তিকর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আজ এলাকার সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। তার এই বেআইনী, মানহানিকর, বানোয়াট বক্তব্যের কারনে আমি আমার পরিবার,
আত্মীয় স্বজন, অফিস কলিগ সর্বোপরি এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিনিয়ত হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি এবং চরম মানসিক ও সামাজিক পীড়ার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি। মাঝে
মাঝে ইচ্ছে হয় আমি আত্মহত্যা করি।”
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার উপবিধি ১১ (ক) এ উল্লেখ আছে, নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করিয়া বক্তব্য প্রদান বা কোন ধরনের তিক্ত বা ডিস্কানী মূলক বা
মানহানিকর। কিংবা লিঙ্গ, সাম্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোন বক্তব্য প্রদান করিতে পারিবেন না।
রোকেয়া বেগম পিরোজপুর জেলা পরিষদের সংরক্ষিত (মঠবাড়িয়া- ভান্ডারিয়া) সদস্য। এর আগে
২০১৬ সালের পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনেও তিনি ভান্ডারিয়া-ইন্দুরকানী থেকে সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি এ ঘটনায় তিনি ব্যাপক মর্মাহত বলে জানান। এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে রোকেয়া বেগম বলেন, তিনি মূলত তাসমিমা হোসেনের স্বামীর প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে
কাজ করার কারণে তাকে নিয়ে এসব আজেবাজে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো জানান, তাসমিমা হোসেন তার কটুক্তি মাধ্যমে পুরো নারী জাতিকে ছোট করেছেন।
Leave a Reply