নিজেস্ব প্রতিবেদক : “৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু” (বেকুটিয়া সেতু) পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পিরোজপুরের পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো: হাবিবুর রহমান মালেক। রোববার বিকেলে বেকুটিয়া কুমিরমারা এলাকায় ৮ম বাংলাদেশ – চীন মৈত্রী সেতু” কাজ পরিদর্শন করেন দি পিরোজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি ও পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো: হাবিবুর রহমান মালেক। এসময় উপস্থিত ছিলেন চায়না রেলওয়ে-১৭ ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেড এর প্রজেক্ট ম্যানেজার চামিং উইং, ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার হাই টাইজ, জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকীব, শারিকতলা ডুমুরীতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমীর হোসেন মাঝি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানাউল্লাহ সানা প্রমুখ।
মেয়র আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান মালেক এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বরিশাল-খুলনা সড়কে সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগব্যবস্থা তৈরির জন্য চীন সরকারের অনুদানে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন।
৯৯৮ মিটার লম্বা ও ১৩ দশমিক ৪০ মিটার চওড়া এ সেতুতে ১২টি পিলার ও ১১টি স্প্যান থাকবে। সেতুর দুই প্রান্তে ১ হাজার ৪৬৭ মিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। সংযোগ সড়কে পানিনিষ্কাশনের জন্য একটি ১২ মিটার সেতু ও একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি নদীর তলদেশ থেকে ১৮ দশমিক ৩০ মিটার উঁচু। ৮৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ সেতুটি নির্মাণ করছে।
চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। সেতুটি চালু হলে সচল হবে এ জেলার অর্থনীতির চাকা। চীন সরকারের সহযোগীতায় নির্মিত ৯৯৮ মিটার দীর্ঘ ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতুটি নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৮০৯ কোটি টাকা।
Leave a Reply